দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তার সঙ্গে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ—জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।
তবে আগে থেকেই ঠিক ছিল, খালেদা জিয়া সোমবার (৫ মে) বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে ফিরবেন। শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। প্রশ্ন উঠেছে—সিদ্ধান্ত কেন বদলানো হলো?
জানা গেছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটে খালেদা জিয়ার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, সেই ফ্লাইটের অন্তত দুই কেবিন ক্রু—আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়।
তথ্য অনুযায়ী, কসমিক শেখ রেহানার নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনাসহ ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। চাকরিজীবনে তিনি ১৮ বার কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন এবং একাধিকবার শাস্তির মুখে পড়েছেন। অপরদিকে, বিপন সরকারি দলের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন, এমনকি ১৫ আগস্ট, শেখ কামালের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস পালনেও ভূমিকা রেখেছেন।
এমন তথ্য উঠে আসার পর শুক্রবার রাতে ওই দুজনকে ফ্লাইট দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং পরিবর্তে নতুন দুইজন কেবিন ক্রুকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তবে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কা কাটেনি। কাতারের পক্ষেও বিষয়টি নজরে আসে। এরপরই দ্রুত সিদ্ধান্তে কাতারের আমিরের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। এতে পুরো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা হয় এবং ৬ মে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেয় বিএনপি।
Leave a Reply