My Blog

My WordPress Blog

তিন বিয়ে করে হাতিয়েছেন সোয়া কোটি, টার্গেট ছিল…..

ভারতের উত্তরাখণ্ডের এক প্রতারক নারী, যিনি ‘লুটেরা বৌ’ নামে পরিচিত, সম্প্রতি জয়পুর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বিগত ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ধনী পুরুষদের টার্গেট করে বিয়ে করার পর বিচ্ছেদের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ের অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।

প্রতারণার ছকপুলিশ জানায়, সীমা ওরফে নিক্কি নামের এই নারী বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে এমন পুরুষদের খুঁজে বের করতেন, যাদের স্ত্রী মারা গেছেন বা তারা বিবাহবিচ্ছিন্ন। এরপর বিয়ের ফাঁদে ফেলে কিছুদিনের মধ্যেই বিচ্ছেদের মামলা করে তাদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আদায় করতেন।

কৌশল ও প্রতারণাপ্রথম শিকার (২০১৩): আগ্রার এক ধনী ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে এক বছরের মধ্যে বিচ্ছেদের মাধ্যমে ৭৫ লাখ রুপি আদায় করেন।দ্বিতীয় শিকার (২০১৭): এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করে তাকে থেকে ১০ লাখ টাকা নেন।তৃতীয় শিকার: আরেক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করে ৩৬ লাখ রুপির নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান।গ্রেফতার ও তদন্তসম্প্রতি জয়পুরের এক ব্যবসায়ী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, যার ভিত্তিতে সীমাকে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে তার অভিনব প্রতারণার গল্প। পুলিশ জানায়, এ পর্যন্ত তিনি সোয়া কোটি রুপিরও বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।

সামাজিক প্রতারণা ও শিকাররাসীমা সাধারণত এমন পুরুষদের টার্গেট করতেন যারা একাকীত্বের কারণে বিয়েতে আগ্রহী ছিলেন। বিয়ের পর মিথ্যা অভিযোগে মামলা করে অর্থ আদায় করাই ছিল তার মূল উদ্দেশ্য।

পুলিশের বক্তব্যজয়পুর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সীমার কর্মকাণ্ড এতটাই সুপরিকল্পিত ছিল যে তিনি ধনী পুরুষদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে কখনো ব্যর্থ হননি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা প্রক্রিয়াধীন।

অবশেষে গ্রেফতার‘লুটেরা বৌ’-এর এই প্রতারণামূলক কার্যক্রম ফাঁস হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সীমার শিকাররা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উল্লেখ: সীমার এই প্রতারণার ঘটনা সমাজে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তাকে সামনে এনেছে, বিশেষ করে অনলাইন বৈবাহিক ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *