রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের আস্তমা ও কামরূপদলং গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে কামরূপদলং পশ্চিম হাওরে এ সংঘর্ষ হয়।
আস্তমা গ্রামের পক্ষের গুরুতর আহত দুজনকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কামরূপদলং গ্রামের আহত তিন জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকালে আস্তমা গ্রামের কৃষক বজলু মিয়ার গরু কামরূপদলং গ্রামের কৃষক সুরুজ মিয়ার জমির ধান খায়। এ নিয়ে দুই কৃষকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও মারামারি হয়। পরে দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে রবিবার সকালে গ্রামের পশ্চিম হাওরে দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আস্তমা গ্রামের আঙ্গুর মিয়া বলেন, ‘শনিবার গরু ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে বজলু মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন কামরূপদলং গ্রামের সুরুজ মিয়া। এতে আমাদের গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যায় কামরূপদলং গ্রামের নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন এসেছিলেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য। আমাদের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আজ সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।’
কামরূপদলং গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল বিকালে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। আমরা চেয়েছিলাম বিষয়টি সালিসের মাধ্যমে শেষ করতে। কিন্তু আস্তমা গ্রামবাসী বিচার মানেননি। রবিবার সকালে তারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের গ্রামের দিকে এগিয়ে আসে। তখন সংঘর্ষ হয়।’
আহতদের মধ্যে আক্তার হোসেন ও দুলাল মিয়াকে এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং বাতির আলী, সুন্দর আলী ও সুজন মিয়াকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা শান্তিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম আলী বলেন, ‘পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। কোনও পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Leave a Reply